ছবি
  মনের হদিস কেই বা জানে   মনের হদিস কেই বা জানে কী যে থাকে মনের ঘরে কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে। মনের হদিস কেই বা জানে সে হদিস কেই বা জানে কী যে থাকে মনের ঘরে কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে না-না কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে, খাঁচার পাখি আকাশ খোঁজে- বোঝে না সে বোকা আকাশ ধরতে গোটা জীবন খাবে সময় পোকা। খাঁচার পাখি আকাশ খোঁজে বোঝে না সে বোকা- আকাশ ধরতে গোটা জীবন খাবে সময় পোকা। তবু পাখির মন তো আকাশ 'পরে তবু পাখির মন তো আকাশ 'পরে কেন যে মন এমন করে কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে। মনের হদিস কেই বা জানে কী যে থাকে মনের ঘরে কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে খুঁজতে গিয়ে ভালোবাসা ঘুরি পথে পথে হাজার নিন্দা চাদর করে চড়ি ফুল'র রথে খুঁজতে গিয়ে ভালোবাসা ঘুরি পথে পথে হাজার নিন্দা চাদর করে চড়ি ফুল'র রথে জানি ভালোবাসা আছে ঘরে জানি ভালোবাসা আছে ঘরে তবু কী মন খুঁজেই মরে কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে মনের হদিস কেই বা জানে কী

“দীর্ঘ-শ্বাসের সমষ্টি”

“দীর্ঘ-শ্বাসের সমষ্টি”

ভরদুপুরে আমার ভেতরে শব্দগুলো উথলে ওঠে,
চুল্লীর ভেতরের তপ্ত  তরলের উন্মত্ততা আচ্ছন্ন করে,
আমি নিঃশব্দ বয়ে চলি কেউ বোঝে না, জানে না আমাকে।
আমার শব্দ আর অনুভূতি ওরা বুঝতেও পারে না,
একসময় হৃদয়ের চেপে রাখা আর্তনাদগুলোকে শব্দ দিতাম,
আমি হতাশ হই প্রায়ই, তখন পাথরের মত বসে থাকি কবিতা হয়ে।
আঙ্গুলগুলো একে অপরের মাঝে প্রবেশ করিয়ে সময় ক্ষেপন করি,
আঙ্গুলগুলো প্রবলভাবে অবাধ্য হতে চায় তবু আমি নির্বিকার।
কী হবে লিখে? কিছুই হবে না! আমি তো জানি, এই শহরের অন্য সবার মতই ?
আমিও একদিন টুপ করে চলে যাব। অনন্তের জগতে, অজানা জগতে।
আমি প্রায়ই নিঃশ্বাস নিই বড় করে, চলে যাব বলে যখন ভাবি, খারাপ লাগে,
আমার কথা কাউকে কষ্ট দিলো কিন্তহ! মনে হয়,ভুল কথা বলে ফেলেছি কিনা।
আমি থাকব না, তখন তাদের হৃদয়ের ক্ষতগুলো আমি মুছে দিতে পারব না।
এই প্রতিদিনের নিঃশ্বাস আমার অনেকগুলো দীর্ঘশ্বাসের সমষ্টি।
কেউ আমাকে তাচ্ছিল্য করে! আমি নির্বিকার বেঁচে থাকি।
http://nirrjon.blogspot.com
কেউ বলে কল্পনার ‘রোমান্টিকতা’ ফেলে বাস্তবে পা দিতে।
অথচ, আমি একজন মানুষ যে শুধু অনুভব করি দৃষ্টি ছাড়িয়ে একটু বেশি।
বাস্তববাদীদের বাস্তব চোখের চাইতে বড় বাস্তব দেখতে পাই।
রোমান্টিক হিসেবে যারা ভাবে তার চাইতে বেশি
কী হবে আমি যদি অন্য সবার মত না হই?
চলে যাওয়াই সবচাইতে বড় বাস্তব! এগুলো কিছুই আমার নয়।
আমার এই শব্দগুলো হয়ত রয়ে যাবে যেদিন আমি থাকব না।
কেউ হয়ত পড়বে আমার কথা, তখন আমি থাকব না।
তারা জানবে, আমার হৃদয়ে অনুভূতি ছিলো, যেমনি তাদের আছে।
আমি নেই, আমি বাস্তব পৃথিবীতে চলে গেছি। এই পথে যাবে সবাই।
লিখতে ইচ্ছা হয় না আর, ক্লান্ত লাগে। ক্লান্ত লাগে নগর জীবন।
ক্লান্ত লাগে এই তপ্ত দুপুর।
ঝরে যাওয়া বৃষ্টির জলধারা, কচুপাতার উপরে পানির ফোঁটা, ভেজা কাক,
ভেজা রাস্তায় ছুটে যাওয়া বৃষ্টিস্নাত শিশুর দৌড়ে চলা এই তো জীবনের গল্প !
এই তপ্ত রোদ সবই আমার বেঁচে থাকার প্রাপ্তি।
প্রাপ্তির আর কোন মাত্রা জানিনা, ইচ্ছেও হয়না।
ভরদুপুরে আমার ভেতরে শব্দগুলো উথলে ওঠে
আমার এই বেঁচে থাকা,
এই প্রতিদিনের নিঃশ্বাস আমার অনেকগুলো দীর্ঘশ্বাসের সমষ্টি!!!!

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

" বিরহের বাণী "

“ প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে বিভিন্ন দার্শনিক কে কি বলেছেন চলুন দেখে নেয়”

“কেমন করে দেকবো তোমায়-তুমি কোথায়?”

“ জেনে নিন শেখ হাসিনার জীবন বৃত্তান্ত”