ছবি
  মনের হদিস কেই বা জানে   মনের হদিস কেই বা জানে কী যে থাকে মনের ঘরে কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে। মনের হদিস কেই বা জানে সে হদিস কেই বা জানে কী যে থাকে মনের ঘরে কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে না-না কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে, খাঁচার পাখি আকাশ খোঁজে- বোঝে না সে বোকা আকাশ ধরতে গোটা জীবন খাবে সময় পোকা। খাঁচার পাখি আকাশ খোঁজে বোঝে না সে বোকা- আকাশ ধরতে গোটা জীবন খাবে সময় পোকা। তবু পাখির মন তো আকাশ 'পরে তবু পাখির মন তো আকাশ 'পরে কেন যে মন এমন করে কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে। মনের হদিস কেই বা জানে কী যে থাকে মনের ঘরে কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে খুঁজতে গিয়ে ভালোবাসা ঘুরি পথে পথে হাজার নিন্দা চাদর করে চড়ি ফুল'র রথে খুঁজতে গিয়ে ভালোবাসা ঘুরি পথে পথে হাজার নিন্দা চাদর করে চড়ি ফুল'র রথে জানি ভালোবাসা আছে ঘরে জানি ভালোবাসা আছে ঘরে তবু কী মন খুঁজেই মরে কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে মনের হদিস কেই বা জানে কী

কষ্টে আছেন নূরজাহান






বিরামপুর (দিনাজপুর) , এহান থেকে শহর অনেক দূরত। আশপাশে কোনো হাসপাতাল নাই। ডাক্তারও নাই। কোনো সমস্যা হলে আশপাশের লোকেরা যা কইছিল, তাই শুনে শুনে ওষুধ খাইছি। ছাওয়াল হওয়ার সময়ও কাউরে পাই নাই। মা আর গ্রামের দাইমা মিলে ডেলিভারি করাইছে। কিন্তু এখন অনেক কষ্ট।’

কথাগুলো বলছিলেন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের নলেয়া মধ্যপাড়া গ্রামের গৃহবধূ নূরজাহান বেগম। আট বছর আগে একই গ্রামের কৃষিশ্রমিক মুশফিকুর রহমানের সঙ্গে নূরজাহানের বিয়ে হয়। এক মাস আগে তিনি একটি পুত্রসন্তান জন্ম দেন। বাড়িতেই সন্তান হয়েছে। কিন্তু সন্তান প্রসবের সময় দক্ষ কোনো চিকিৎসক বা পেশাদার মিডওয়াইফ ছিল না। গ্রামের স্বল্পশিক্ষিত দাই ও নূরজাহানের মা তাঁর সন্তান প্রসব করান। এখন নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন নূরজাহান।
নূরজাহান বলেন, বাচ্চা হওয়ার পর থেকে তাঁর সারা শরীর ব্যথা করছে। শরীর অনবরত চুলকাচ্ছে। খাবারে রুচি কমে গেছে। বাচ্চাটিরও প্রতিদিন দুপুরে জ্বর আসছে। হাসপাতাল প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। তাই তাঁর পক্ষে চট করে সেখানে যাওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। যেতে হলে রিকশা-ভ্যানে করে যেতে হবে। নূরজাহানের ভয়, ভ্যানে করে এবড়োখেবড়ো রাস্তা দিয়ে গেলে তাঁদের মা ও ছেলের দুজনের অবস্থার আরও অবনতি হবে।
নূরজাহানের গর্ভকালীন যত্নআত্তিও খুব একটা হয়নি। সন্তান গর্ভধারণের পর থেকে প্রসব হওয়া পর্যন্ত তাঁকে মাত্র একবার ডাক্তারের কাছে নেওয়া হয়। তা-ও সন্তান প্রসবের অল্প কিছুদিন আগে।
নূরজাহান বলেন, ‘এক মাস পরপর ব্র্যাকের আপারা আইছিল। যতবার আইছিল ১০ টাকা করে চাইল। খাওয়ার টাকা পাই না, তাদের কেমন করে টাকা দিমু। তাই আপারাও আর আসে নাই।’
হাতের কাছে ডাক্তার ও পেশাদার মিডওয়াইফ না থাকায় নূরজাহানের প্রথম সন্তান জন্মের পরপরই মারা যায়।
নূরজাহান বলেন, ‘হাতের কোলোত ডাক্তার না থাকায় আগের ছোলটা মরছে। বিয়ার তিন বছরের মাথায় পেটে বাচ্চা আইছিল। প্রথম ছাওয়াল। ডাক্তারও আছিল না, কাউকে কিছু কওয়াও পারছিলাম না। হঠাৎ করেই ব্যথা উঠছিল। স্বামী হাতের কাছে দাইমা-ডাক্তার কাউরে পাইনি। দূরত থেকে দাইমা আসতে আসতে দেরি হয়ে গেইছিল। যে দাইমা আইছিল সে অত ভালো আছিল না। তাই ছাওয়াল হইতে খুব কষ্ট হইছিল। মনে হইছিল জীবনটা বের হয়ে যাবে। ছাওয়ালটা মোর বাঁচল না। হওয়ার তিন দিনের মাথায় মরে গেল। এরপর অনেক দিন ভুগবার নাগছি। ভালো ডাক্তার দেখাইত পারলে এত ভুগবার নাগত না। আমার ছাওয়ালটাও বাঁইচত’ ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

" বিরহের বাণী "

" জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন বৃত্তান্ত "

“ প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে বিভিন্ন দার্শনিক কে কি বলেছেন চলুন দেখে নেয়”

“শুধু তোমার-- ডাগর চোখের জন্য”