ছবি
  মনের হদিস কেই বা জানে   মনের হদিস কেই বা জানে কী যে থাকে মনের ঘরে কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে। মনের হদিস কেই বা জানে সে হদিস কেই বা জানে কী যে থাকে মনের ঘরে কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে না-না কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে, খাঁচার পাখি আকাশ খোঁজে- বোঝে না সে বোকা আকাশ ধরতে গোটা জীবন খাবে সময় পোকা। খাঁচার পাখি আকাশ খোঁজে বোঝে না সে বোকা- আকাশ ধরতে গোটা জীবন খাবে সময় পোকা। তবু পাখির মন তো আকাশ 'পরে তবু পাখির মন তো আকাশ 'পরে কেন যে মন এমন করে কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে। মনের হদিস কেই বা জানে কী যে থাকে মনের ঘরে কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে খুঁজতে গিয়ে ভালোবাসা ঘুরি পথে পথে হাজার নিন্দা চাদর করে চড়ি ফুল'র রথে খুঁজতে গিয়ে ভালোবাসা ঘুরি পথে পথে হাজার নিন্দা চাদর করে চড়ি ফুল'র রথে জানি ভালোবাসা আছে ঘরে জানি ভালোবাসা আছে ঘরে তবু কী মন খুঁজেই মরে কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে মনের হদিস কেই বা জানে কী

“ অটো প্রমোশন পাবেন সবাই ”

“অটো প্রমোশন পাবেন সবাই”


 সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল থাকছে না, এটা চূড়ান্ত করে দিয়েছে বেতনবৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। কারো জন্য স্বতন্ত্র কোনো বেতন কাঠামোও হবে না।
তবে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেলের বিকল্প হিসেবে ‘অটোমেটিক প্রমোশন’ বা স্বয়ংক্রিয় পদোন্নতি প্রথা চালু করা হচ্ছে। এ ব্যবস্থায় একই গ্রেডে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী ১০ বছর চাকরি করলে পরের বছর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিনি পদোন্নতি পেয়ে উচ্চতর গ্রেডে উন্নীত হবেন। এভাবে প্রথম পদোন্নতি পেয়ে ওপরের গ্রেডে যাওয়ার ছয় বছর পর তিনি আবারও আরেক গ্রেড ওপরে উঠবেন। সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সমান সুযোগের এটিই সর্বোত্তম পন্থা বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিসভা কমিটির প্রধান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
গতকাল রবিবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব শফিউল আলম, অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ ও শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।   টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি কলেজের শিক্ষকদের আন্দোলন ও দাবিদাওয়া প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও বিসিএস উত্তীর্ণ কলেজ শিক্ষকরা অনেক অভিযোগ করেছেন। তাঁদের ধারণা, যেহেতু টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড নেই, তাই তাঁদের সুযোগ-সুবিধা হয়তো রেসট্রিকটেড হয়ে গেল। তাঁদের এ ধারণা সঠিক নয়। নতুন বেতন কাঠামোতে কারোরই সুযোগ-সুবিধা কমবে না বলে বারবার নিশ্চিত করেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষকরা টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড ব্যবহার করে ওপরের গ্রেডে ওঠেন। আমরা টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাদ দিয়ে দিয়েছি। শিক্ষা ক্যাডারের জন্য হয়তো এটা মেনে নেওয়া যেতে পারে। তবে আমরা যে ব্যবস্থা করব, তাতে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড আনব না। যেখানে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড তাঁরা পেতেন, সেখানে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে দুটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তা হলো- ১০ বছর কেউ যদি একটি গ্রেডে থাকেন, তাহলে ১১তম বছরে তিনি পরের গ্রেডে উন্নীত হবেন। সেখানে যদি আরো ছয় বছর থাকেন, তাহলে সপ্তম বছরে তিনি আরেক গ্রেড উপরে উঠবেন। এসব পদোন্নতি অটোমেটিক করে দেওয়া হয়েছে। সবার জন্য সুযোগ বৃদ্ধির এটাই শ্রেষ্ঠ উপায়। ’
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীই স্বাভাবিক পদোন্নতি পান। কোনো কারণে তিনি যদি পদোন্নতি না পান বা ব্লকড পদের কারণে পদোন্নতির কোনো সুযোগ না থাকে, তাহলে তিনি অবশ্যই ১০ বছর পর একটি এবং পরবর্তী ছয় বছর পর আরেকটি উচ্চতর গ্রেডে পৌঁছবেন। আগে স্বাভাবিক পদোন্নতি না পাওয়া ও ব্লকড পদে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পেয়ে উচ্চতর গ্রেডে পৌঁছতেন। ফলে অটোমেটিক পদোন্নতি সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেলের বিকল্প হিসেবে একই ধরনের ফল দেবে। সব ক্যাডারের কর্মকর্তারা ১ নম্বর গ্রেডে (সচিব) যাতে পৌঁছতে পারেন, সে জন্য ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর থেকে প্রত্যেক ক্যাডারই ১ নম্বর গ্রেডে পৌঁছেন। এটা আগে ছিল না। আগে বোধ হয় ছয়-সাতটি ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তারা ১ নম্বর গ্রেডে যেতেন। অন্য ক্যাডারদের সবাই গ্রেড-৩-এ গিয়ে শেষ হয়ে যেতেন। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, গ্রেড-৩, গ্রেড-২ ও গ্রেড-১-এ যাতে প্রত্যেক ক্যাডারের কর্মকর্তারা যেতে পারেন, সেই সুযোগ করে দেওয়া। ’ ‘সরকার সবার জন্য সুযোগ নিশ্চিত করবে’ অঙ্গীকার করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এত দিন যাঁরা বিভিন্ন কারণে নানা সুবিধা পেয়ে আসছেন, তাঁদের সুযোগ কমানোর কোনো উদ্দেশ্য আমাদের নেই, ছিলও না। কমিশনের রিপোর্টেও সে উদ্দেশ্য ছিল না। আমাদের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তেও সে ধরনের উদ্দেশ্য ছিল না। আমরা যে গেজেট জারির জন্য নির্দেশনামা তৈরি করছি, সেখানেও তা নেই। এ ব্যাপারে আমি সবাইকে নিশ্চিত করতে চাই যে সবার জন্য সুযোগ থাকতে হবে। এটাই আমাদের সংস্কারের মূলনীতি। ’
গত ৩০ জুনের পর থেকে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী সিলেকশন গ্রেড, টাইম স্কেলসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা ভোগ করছেন, সেগুলো কর্তন না করার ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গেজেট জারির আগ পর্যন্ত যা কিছু হচ্ছে, সবই আগের নিয়মে হচ্ছে। সেখানে আমরা কোনো বাধানিষেধ দিইনি। আমরা নিশ্চিত করছি, নতুনটি যেদিন জারি হবে, সেদিন থেকেই এটি কার্যকর হবে। পুরনো কাঠামো অনুযায়ী এর আগে যেসব সুবিধা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রাপ্য হবেন, তার কোনো কিছুই আমরা নাকচ করছি না। এটা আমরা যেকোনোভাবে সমন্বয় করে নেব। 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

" বিরহের বাণী "

“কেমন করে দেকবো তোমায়-তুমি কোথায়?”

" জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন বৃত্তান্ত "

" আমার সকল দুখের প্রদীপ"