খানসামা ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনকারীদের
বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা দুটি মামলার আসামি হিসেবে দিনাজপুরে সরকারি
কৌঁসুলি মীর ইউসুফ আলী জামিন নিতে গিয়ে চার ঘণ্টা হাজতবাস করেন। পরে জেলা ও
দায়রা জজ আদালতে তাঁর জামিন হয়।
খানসামা ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণের দাবিতে ৮ জানুয়ারি কলেজ
জাতীয়করণ বাস্তবায়ন কমিটির ডাকে হরতাল চলাকালে পুলিশের সঙ্গে জনতার সংঘর্ষ
হয়। ওই ঘটনায় খানসামা থানার এসআই দুলাল উদ্দিন বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৪১ জনের
নাম দিয়ে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। খানসামা উপজেলার
সহজপুর গ্রামের বাসিন্দা সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) মীর ইউসুফ আলী মামলার ৯
নম্বর আসামি। একই ঘটনায় এসআই তাহেদুল ইসলাম জ্বালাও-পোড়াও আইনে ৩৭ জনের নাম
দিয়ে ও অজ্ঞাতনামা ৬০০ ব্যক্তিকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন। এই মামলায়
মীর ইউসুফ আলী ৩ নম্বর আসামি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মীর ইউসুফ আলী গত বুধবার বেলা
১১টায় দিনাজপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমলি আদালত-২-এ হাজির হয়ে জামিনের
আবেদন করলে বিচারক আবেদন নাকচ করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক সোহরাওয়ার্দী ইউসুফ আলীকে তাঁর কার্যালয়ে বসিয়ে
রাখেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর দিনাজপুর আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা বিচারিক হাকিম
আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মিস কেস দায়ের করেন।
ইউসুফ আলীর জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক বিকেল চারটায় তাঁর জামিন মঞ্জুর
করেন।
মীর ইউসুফ আলী বলেন, তিনি খানসামা ডিগ্রি কলেজের
প্রতিষ্ঠাতাকালীন অধ্যক্ষ ও বর্তমান পরিচালনা পরিষদের সদস্য। জেলা পর্যায়ে
রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা। ঘটনার দিন তিনি দিনাজপুর আদালতে কর্মরত
ছিলেন। এ অবস্থায় তাঁকে অন্যায়ভাবে মামলার আসামি করায় তিনি সংশ্লিষ্ট পুলিশ
কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তির দাবি করেন।
দিনাজপুর আদালতের সাবেক জিপি ওয়াহেদ আলী বলেন, ‘রাষ্ট্রের
জেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের অনুমতি দরকার। কিন্তু পুলিশ সেই অনুমতি না নিয়ে মামলায় তাঁকে
আসামি করে আইনের বিরুদ্ধে কাজ করেছে।’
জানতে চাইলে খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
আবদুল মতিন প্রধান বলেন, ‘আমরা বাইরে থেকে চাকরি করতে এসেছি। যাঁদের নাম
উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে, তাঁদের কে জিপি বা পিপি, আমরা জানি না।
এজাহারে সেই পদবি উল্লেখ করাও হয়নি।’ পুলিশ কোনো ভুল করেনি বলে তিনি দাবি
করেন।
copy - প্রথম আলো ...।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন