মনের হদিস কেই বা জানে মনের হদিস কেই বা জানে কী যে থাকে মনের ঘরে কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে। মনের হদিস কেই বা জানে সে হদিস কেই বা জানে কী যে থাকে মনের ঘরে কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে না-না কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে, খাঁচার পাখি আকাশ খোঁজে- বোঝে না সে বোকা আকাশ ধরতে গোটা জীবন খাবে সময় পোকা। খাঁচার পাখি আকাশ খোঁজে বোঝে না সে বোকা- আকাশ ধরতে গোটা জীবন খাবে সময় পোকা। তবু পাখির মন তো আকাশ 'পরে তবু পাখির মন তো আকাশ 'পরে কেন যে মন এমন করে কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে। মনের হদিস কেই বা জানে কী যে থাকে মনের ঘরে কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে খুঁজতে গিয়ে ভালোবাসা ঘুরি পথে পথে হাজার নিন্দা চাদর করে চড়ি ফুল'র রথে খুঁজতে গিয়ে ভালোবাসা ঘুরি পথে পথে হাজার নিন্দা চাদর করে চড়ি ফুল'র রথে জানি ভালোবাসা আছে ঘরে জানি ভালোবাসা আছে ঘরে তবু কী মন খুঁজেই মরে কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে মনের হদিস কেই বা জানে কী
"সাতই মার্চের ভাষণ"
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
"সাতই মার্চের ভাষণ"
১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ৭ই মার্চ ঢাকার রমনায় অবস্থিত রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান
http://nirrjon.blogspot.com |
পটভূমি
১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে আওয়ামলীগ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানের
সামরিক শাসকগোষ্ঠী এই দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বিলম্ব করতে শুরু করে।
প্রকৃতপক্ষে তাদের উদ্দেশ্য ছিল, যে-কোনভাবে ক্ষমতা
পশ্চিম পাকিস্তানী রাজনীতিবিদদের হাতে কুক্ষিগত করে রাখা। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের
প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান ৩রা মার্চ জাতীয় পরিষদ অধিবেশন আহ্বান করেন। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে ১লা মার্চ এই অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতবি ঘোষণা করেন। এই সংবাদে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। আওয়ামী লীগ
প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ২রা মার্চ ঢাকায় এবং ৩রা মার্চ সারাদেশে একযোগে হরতাল পালিত হয়। তিনি ৩রা মার্চ পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত এক বিশাল জনসভায় সমগ্র পূর্ব বাংলায়
সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এই পটভূমিতেই ৭ই মার্চ রেসকোর্স
ময়দানের জনসভায় বিপুল সংখ্যক লোক একত্রিত হয়; পুরো
ময়দান পরিণত হয় এক জনসমুদ্রে। এই জনতা এবং সার্বিকভাবে সমগ্র জাতির উদ্দেশ্যে
শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণটি প্রদান করেন।
পূর্ণাঙ্গ ভাষণ
'ভায়েরা আমার,
আজ দুঃখ
ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির
হয়েছি। আপনারা সবই জানেন এবং বোঝেন। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু
দুঃখের বিষয়, আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা,
রাজশাহী, রংপুরে আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ
রঞ্জিত হয়েছে। আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মা নুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার
চায়। কী অন্যায় করেছিলাম? নির্বাচনের পরে বাংলাদেশের মানুষ
সম্পূর্ণভাবে আমাকে, আওয়ামীলীগকে ভোট দেন।
আমাদের
ন্যাশনাল এসেম্বলি বসবে, আমরা সেখানে শাসনতন্ত্র তৈয়ার করবো এবং এই দেশকে আমরা গড়ে তুলবো।
এদেশের মানুষ অর্থণৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক মুক্তি পাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় , ২৩
বৎসরের করুণ ইতিহাস, বাংলার অত্যাচারের, বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস। ২৩ বৎসরের ইতিহাস মুমূর্ষু নর-নারীর
আর্তনাদের ইতিহাস। বাংলার ইতিহাস-এদেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার
ইতিহাস। ১৯৫২ সালে রক্ত দিয়েছি। ১৯৫৪ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করেও আমরা গদিতে বসতে
পারি নাই। ১৯৫৮ সালে আয়ুব খান মার্শাল ল’ জারি করে ১০
বছর পর্যন্ত আমাদের গোলাম করে রেখেছে। ১৯৬৬ সালে ৬দফা আন্দোলনে ৭ই জুনে আমার
ছেলেদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ১৯৬৯ এর আন্দোলনে আইয়ুব খানের পতন হওয়ার পরে
যখন ইয়াহিয়া খান সাহেব সরকার নিলেন, তিনি বললেন,
দেশে শাসনতন্ত্র দেবেন, গনতন্ত্র দেবেন
- আমরা মেনে নিলাম। তারপরে অনেক ইতিহাস হয়ে গেলো, নির্বাচন
হলো। আপনারা জানেন। দোষ কী আমাদের? আজকে আমি প্রেসিডেন্ট
ইয়াহিয়া খান সাহেবের সাথে দেখা করেছি আপনারা জানেন - আলাপ আলোচনা করেছি। আমি
শুধু বাংলা নয় - পাকিস্তানের মেজরিটি পার্টির নেতা হিসেবে তাকে অনুরোধ করলাম ১৫
ফেব্রুয়ারি তারিখে আপনি জাতীয় পরিষদের অধিবেশন দেন। তিনি আমার কথা রাখলেন না।
তিনি রাখলেন ভুট্টো সাহেবের কথা। তিনি বললেন, প্রথম
সপ্তাহে মার্চ মাসে হবে। তিনি মাইনে (মেনে) নিলেন। আমরা
বললাম, ঠিক আছে, আমরা এসেম্বলিতে
বসবো। আমরা আলোচনা করব। আমি বললাম, বক্তৃতার মধ্যে,
এসেম্বলির মধ্যে আলোচনা করবো- এমনকি আমি এ পর্যন্তও বললাম,
যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায়
বেশি হলেও একজন যদিও সে হয়, তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে
নেব। জনাব ভুট্টো সাহেব এখানে এসেছিলেন, আলোচনা করলেন,
বলে গেলেন যে আলোচনার দরজা বন্ধ না, আরও
আলোচনা হবে। তারপরে অন্যান্য নেত্রীবৃন্দের সঙ্গে আলাপ করলাম। আপনারা আসুন,বসি। আমরা আলাপ করে শাসনতন্ত্র তৈয়ার করি। তিনি বললেন, পশ্চিম পাকিস্তানের মেম্বাররা যদি এখানে আসে তাহলে কসাইখানা হবে
এসেম্বলি। তিনি বললেন যে যাবে তাকে মেরে ফেলা দেয়া হবে। যদি কেউ এসেম্বলিতে আসে
তাহলে পেশোয়ার থেকে করাচি পর্যন্ত দোকান জোর করে বন্ধ করা হবে। তার পরেও যদি কেউ
আসে তাকে ছান্নাছাড় করা হবে। আমি বললাম, এসেম্বলি চলবে।
তারপরে হঠাৎ ১ তারিখে এসেম্বলি বন্ধ করে দেওয়া হলো।
ইয়াহিয়া
খান সাহেব প্রেসিডেন্ট হিসেবে এসেম্বলি ডেকেছিলেন। আমি বললাম যে আমি যাবো। ভুট্টো
সাহেব বললেন তিনি যাবেন না। ৩৫ জন সদস্য পশ্চিম পাকিস্তানের থেকে এখানে আসলেন।
তারপরে হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হল। দোষ দেওয়া হল বাংলার মানুষকে। দোষ দেওয়া হল
আমাকে। বন্ধ করে দেয়ার পরে এদেশের মানুষ প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠলো। আমি বললাম
শান্তিপূর্নভাবে আপনারা হরতাল পালন করেন। আমি বললাম, আপনারা কলকারখানা সব কিছু বন্ধ করে
দেন। জনগণ সাড়া দিলো। আপন ইচ্ছায় জনগণ রাস্তায় বেরিয়ে পড়ল। তারা
শান্তিপূর্নভাবে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হল।
কী পেলাম
আমরা? যা আমার পয়সা
দিয়ে অস্ত্র কিনেছি বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য, আজ সেই অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে আমার দেশের গরীব-দুঃখী নিরস্ত্র মানুষের
বিরুদ্ধে- তার বুকের ওপরে হচ্ছে গুলি। আমরা পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু- আমরা
পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু - আমরা বাঙালীরা যখনই ক্ষমতায় যাবার চেষ্টা করেছি যখনই
এদেশের মালিক হবার চেষ্টা করেছি - তখনই তারা আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তারা
আমাদের ভাই। আমি বলেছি তাদের কাছে একথা। যে আপনারা কেন আপনার ভাইয়ের বুকে গুলি
মারবেন? আপনাদের রাখা হয়েছে যদি বহিঃশত্রু আক্রমণ করে
তার থেকে দেশটাকে রক্ষা করার জন্য। তারপরে উনি বললেন - যে আমার নামে উনি বলেছেন
আমি নাকি স্বীকার করেছি যে ১০ তারিখে রাউন্ড টেবিল কনফারেন্স হবে। আমি উনাকে একথা
বলে দিবার চাই - আমি তাকে তা বলি নাই। টেলিফোনে আমার সঙ্গে তার কথা হয়। তাকে আমি
বলেছিলাম, জেনারেল ইয়াহিয়া খান সাহেব, আপনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, দেখে যান,
ঢাকায় আসেন, কিভাবে আমার গরীবের ওপরে,
আমার বাংলার মানুষের বুকের ওপর গুলি করা হয়েছে। কী করে আমার
মায়ের কোল খালি করা হয়েছে, কী করে মানুষকে হত্যা করা হয়েছে,
আপনি আসুন, দেখুন, বিচার করুন। তার পরে আপনি ঠিক করুন - আমি এই কথা বলেছিলাম। আমি তো অনেক
আগেই বলেছি কিসের আর টি সি? কার সঙ্গে বসবো? যারা আমার মানুষের বুকের রক্ত নিয়েছে, তাদের
সঙ্গে বসব? হঠাৎ আমার সঙ্গে পরামর্শ না করে, বা আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে, ৫ ঘণ্টা গোপনে
বৈঠক করে যে বক্তৃতা তিনি করেছেন এবং যে বক্তৃতা করে এসেম্বলি করেছেন- সমস্ত দোষ
তিনি আমার উপরে দিয়েছেন - বাংলার মানুষের উপরে দিয়েছেন।
আমি পরিষ্কার
মিটিংএ বলেছি যে এবারের সংগ্রাম আমার মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার
সংগ্রাম। ভায়েরা আমার, ২৫ তারিখে এসেম্বলি কল করেছে। রক্তের দাগ শুকায় নাই। আমি ১০ তারিখে
বলে দিয়েছি, যে ওই শহীদের রক্তের ওপর পাড়া দিয়ে
আরটিসিতে মুজিবুর রহমান যোগদান করতে পারেনা। এসেম্বলি কল করেছেন, আমার দাবী মানতে হবে। প্রথম, সামরিক আইন-
মার্শাল ল’ উইথড্র করতে হবে। সমস্ত সামরিক বাহিনীর লোকদের
ব্যারাকে ফেরত দিতে হবে। যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তার তদন্ত করতে হবে। আর জনগণের
প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তারপর বিবেচনা করে দেখবো, আমরা এসেম্বলিতে বসতে পারবো কি পারবো না। এর পূর্বে এসেম্বলিতে বসতে
আমরা পারি না। জনগণ সে অধিকার আমাকে দেয় নাই। ভায়েরা আমার, তোমরা আমার উপর বিশ্বাস আছে?
আমি, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না। আমরা
এদেশের মানুষের অধিকার চাই। আমি পরিষ্কার অক্ষরে বলে দেবার চাই, আজ থেকে এই বাংলাদেশে কোর্টকাচারি, আদালত ফৌজদারি,
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিস্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। গরিবের যাতে
কষ্ট না হয়, যাতে আমার মানুষ কষ্ট না করে, সেইজন্য সমস্ত অন্যান্য জিনিসগুলো আছে, সেগুলোর
হরতাল কাল থেকে চলবে না। রিকশা ঘোড়াগাড়ি চলবে, রেল চলবে,
লঞ্চ চলবে। শুধু সেক্রেটারিয়েট, সুপ্রিম
কোর্ট, হাইকোর্ট, জজকোর্ট,
সেমিগভার্মেন্ট দপ্তরগুলো, ওয়াপদা কোন
কিছু চলবেনা। ২৮ তারিখে কর্মচারিরা যেয়ে বেতন নিয়ে আসবেন। এরপরে যদি বেতন দেয়া না হয়।
আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয় তোমাদের
কাছে আমার অনুরোধ রইল - প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা
যা আছে সবকিছু - আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে। আমরা ভাতে মারবো। আমরা পানিতে
মারবো। তোমরা আমার ভাই, তোমরা ব্যারাকে থাকো, কেউ তোমাদের কিছু বলবে না। কিন্তু আর আমার বুকের ওপর গুলি চালাবার
চেষ্টা করো না। ভালো হবেনা। সাত কোটি মানুষকে দাবায়া রাখতে পারবা না। আমরা যখন মরতে শিখেছি তখন কেউ
আমাদের দাবাতে পারবেনা।
আর যে সমস্ত
লোক শহীদ হয়েছে, আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, আমরা অওয়ামিলীগ থেকে যদ্দুর পারি তাদের সাহায্য করতে চেষ্টা
করবো। যারা পারেন আমার রিলিফ কমিটিকে সামান্য টাকাপয়সা পৌঁছে দেবেন। আর এই ৭ দিন
হরতালে যে সমস্ত শ্রমিক ভাইরা যোগদান করেছেন, প্রত্যেকটার
শিল্পের মালিক তাদের বেতন পৌঁছায়ে দেবেন। সরকারী কর্মচারিদের বলি, আমি যা বলি তা মানতে হবে। যে পর্যন্ত আমার এই দেশের মুক্তি না হবে,
খাজনা ট্যাক্স বন্ধ করে দেয়া হল, কেউ
দেবেনা। শোনেন মনে রাখবেন, শত্রু বাহিনী ঢুকেছে, নিজেদের মধ্যে আত্মকলহ সৃষ্টি করবে। এই বাংলায় হিন্দু মুসলমান,
বাঙালি-নন বাঙালি, যারা আছে তারা আমাদের
ভাই, তাদের রক্ষার দায়িত্ব আমাদের উপরে। আমাদের যেন
বদনাম না হয়। মনে রাখবেন রেডিও টেলিভিশনের কর্মচারিরা, যদি
রেডিওতে আমাদের কথা না শোনে, তাহলে কোন বাঙালি রেডিও
স্টেশনে যাবেননা। যদি টেলিভিশন আমাদের নিউজ না দেয়, কোন
বাঙালি টেলিভিশনে যাবেননা। যদি টেলিভিশন আমাদের নিউজ না দেয়, কোন বাঙালি টেলিভিশনে যাবেন না। দুই ঘণ্টা ব্যাংক খোলা থাকবে, যাতে মানুষ তাদের মায়নাপত্র নেবার পারে। কিন্তু পূর্ববাংলা থেকে
পশ্চিম পাকিস্তানে এক পয়সাও চালান হতে পারবেনা। টেলিফোন টেলিগ্রাফ আমাদের এই
পূর্ববাংলায় চলবে, এবং বিদেশের সঙ্গে নিউজ পাঠাতে হলে
আপনারা চালাবেন। কিন্তু যদি এই দেশের মানুষকে খতম করার চেষ্টা করা হয়, বাঙালিরা বুঝেশুনে কাজ করবেন।
তবে আমি
অনুরোধ করছি - আপনারা আমাদের ভাই - আপনারা দেশকে একেবারে জাহান্নামে ধ্বংস করে
দিয়েন না। জীবনে আর কোনোদিন আপনাদের মুখ দেখাদেখি হবেনা। যদি আমরা
শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের ফয়সালা করতে পারি তাহলে অন্ততপক্ষে ভাই ভাই হিসেবে বাস
করার সম্ভবনা আছে। সেইজন্য আপনাদের অনুরোধ করছি আমার এই দেশে আপনারা মিলিটারি শাসন
চালাবার চেষ্টা আর করবেন না। দ্বিতীয় কথা - প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায় - প্রত্যেক
ইউনিয়নে - প্রত্যেক সাবডিভিশনে - আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোল।
এবং তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়েছি,
রক্ত আরো দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।'
'আপনারা আমার উপরে বিশ্বাস নিশ্চই রাখেন - জীবনে আমার রক্তের বিনিময়েও আপনাদের
সঙ্গে বেইমানি করি নাই। প্রধানমন্ত্রীত্ব দিয়ে আমাকে নিতে পারেনাই। ফাঁসিকাষ্ঠে
আসামী দিয়েও আমাকে নিতে পারেনাই। যে রক্ত দিয়ে আপনারা আমাকে একদিন জেলের থেকে বাইর
করে নিয়ে এসেছিলেন এই রেসকোর্স ময়দানে আমি বলেছিলাম - আমার রক্ত দিয়ে আমি রক্ত ঋণ শোধ
করব - মনে আছে? আমি রক্ত দেবার জন্য প্রস্তুত। আমাদের
মিটিং এইখানেই শেষ। আসসালামু আলাইকুম। জয় বাংলা।'
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি
“একাকী পথ চলা”
" বিরহের বাণী "
" বিরহের বাণী " “দুঃখের মাঝেও একটা সুখের অনুভূতি থাকে, তা হয়তোবা সুখে থেকে কেউ কল্পনাও করতে পারবেনা। কারণ মানুষ দুঃখে থেকে সুখকে উপলদ্ধি করতে পারলেও সুখে থেকে কিন্তু কেউ দূঃখকে সেভাবে উপলদ্ধি করতে পারেনা। আর মানুষ যখন কষ্টের মাঝে সুখকে কল্পনা করে তখন তার মনে যে অনুভূতির সৃষ্টি হয় তা কখনও কখনও সুখের চেয়েও ___ “হয়তোবা মাঝে মাঝে কিছু ভুল করে বসি তাই বলে এই নয় যে আমি পচে গেছি আমি যেমন ছিলাম তেমনি আছি শুধু সময়ের সাথে বদলে গেছ তুমি”। ___ “পৃথিবীতে কঠিন বাস্তবের মধ্যে একটি বাস্তব হলোঃ মানুষ যখন সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌছায় আর তখনই তার প্রিয় মানুষটি হারিয়ে যায়”। ___ “কষ্ট কখনও কাউকে কষ্ট দেয় না সুখ ই মানুষকে কষ্ট দেয়। তাই সুখের পিছনে ঘুরে সময় নষ্ট করা মানে দুঃখকে আমন্ত্রণ জানানো ছাড়া আর কিছু নয়”। ___ “পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় কষ্ট হলো এক তরফা ভালবাসা। আর তারচেয়ে বড় কষ্ট হলো আপনি তাকে ভালবাসতেন সে জানত, এখনও ভালবাসেন কিন্তু সে জানে না”। ___ “কাউকে মন থেকে ভালবাসলে আপনিও তার কাছ থেকে আপনার মত ভালবাসা আশা করবেন, আর
“ প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে বিভিন্ন দার্শনিক কে কি বলেছেন চলুন দেখে নেয়”
‘প্রেমের পরশে প্রত্যেকেই কবি হয়ে ওঠে।’ প্লেটো ‘প্রেমে পড়লে বোকা বুদ্ধিমান হয়ে ওঠে, বুদ্ধিমান বোকা হয়ে যায়।’ স্পুট হাসসুন ‘ভালোবাসা পাওয়ার চাইতে ভালোবাসা দেওয়াতেই বেশি আনন্দ।’ জর্জ চ্যাপম্যান ‘ভালোবাসতে শেখ, ভালোবাসা দিতে শেখ তাহলে তোমার জীবনে ভালোবাসার অভাব হবে না।’ টমাস ফুলার ‘কোনো কিছুকে ভালোবাসা হলো সেটি বেঁচে থাক তা চাওয়া।’ কনফুসিয়াস ‘যখন আপনি কাউকে ভালোবাসেন তখন আপনার জমিয়ে রাখা সব ইচ্ছেগুলো বেরিয়ে আসতে থাকে।’ এলিজাবেথ বাওয়েন ‘বন্ধুত্ব অনেক সময় ভালোবাসায় পর্যবসিত হয়, কিন্তু বন্ধুত্বের মধ্যে কখনও ভালোবাসা থাকে না’ চার্লস কনটন ‘ভালোবাসা যখন অবদমিত হয়, তার জায়গা দখল করে ঘৃণা।’ হ্যাভনক এলিস ‘যে ভালোবাসা পেল না, যে কাউকে ভালোবাসতে পারল না, সংসারে তার মতো হতভাগা কেউ নেই।’ কিটস্ ‘ছেলেরা ভালোবাসার অভিনয় করতে করতে যে কখন সত্যি সত্যি ভালোবেসে ফেলে তারা তা নিজেও জানে না। মেয়েরা সত্যিকার ভালোবাসতে বাসতে যে কখন অভিনয় শুরু করে তারা তা নিজেও জানে না।’ সমরেশ মজুমদার ‘প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন।’ রবীন্
“কেমন করে দেকবো তোমায়-তুমি কোথায়?”
“ জেনে নিন শেখ হাসিনার জীবন বৃত্তান্ত”
“জেনে নিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন বৃত্তান্ত” http://nirrjon.blogspot.com **মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা” অনেকেই জানেন, অনেকেই জানেন না, কিংবা অনেকেরই জানার আগ্রহ রয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে। তিনি কোথায় পড়াশুনা করেছেন, কিভাবে বেড়ে উঠেছেন, কোথায় জন্মগ্রহণ করেছেন, উনার জন্ম তারিখ কত সালে, কত বার তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এমন নানাবিধ প্রশ্ন অনেকেরই মনে ঘুরপাক খায় নিয়মিত। যারা জানেন না তাদের জন্য আমার এই বিশেষ সংগ্রহ। জেনে নিন আপনাদের প্রিয় নেত্রীর জীবন বৃত্তান্ত । ০৫ জানুয়ারি ২০১৪ এ অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের পর ১২ জানুয়ারি ২০১৪-এ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বারের মত শপথ নেন শেখ হাসিনা। এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয়বারের মত এবং ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি প্রথমবারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৫
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন