ছবি
  মনের হদিস কেই বা জানে   মনের হদিস কেই বা জানে কী যে থাকে মনের ঘরে কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে। মনের হদিস কেই বা জানে সে হদিস কেই বা জানে কী যে থাকে মনের ঘরে কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে না-না কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে, খাঁচার পাখি আকাশ খোঁজে- বোঝে না সে বোকা আকাশ ধরতে গোটা জীবন খাবে সময় পোকা। খাঁচার পাখি আকাশ খোঁজে বোঝে না সে বোকা- আকাশ ধরতে গোটা জীবন খাবে সময় পোকা। তবু পাখির মন তো আকাশ 'পরে তবু পাখির মন তো আকাশ 'পরে কেন যে মন এমন করে কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে। মনের হদিস কেই বা জানে কী যে থাকে মনের ঘরে কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে খুঁজতে গিয়ে ভালোবাসা ঘুরি পথে পথে হাজার নিন্দা চাদর করে চড়ি ফুল'র রথে খুঁজতে গিয়ে ভালোবাসা ঘুরি পথে পথে হাজার নিন্দা চাদর করে চড়ি ফুল'র রথে জানি ভালোবাসা আছে ঘরে জানি ভালোবাসা আছে ঘরে তবু কী মন খুঁজেই মরে কেউ জানে না, কেউ জানে না সেও জানে না যে ধারণ করে, ধারণ করে মনের হদিস কেই বা জানে কী

" মৃত্যুদন্ড "

              " মৃত্যুদন্ড " 

                                  -   শিল্পীঃ     মাকসুদ 

                                  -এ্যালবামঃ  নিষিদ্ধ  

  1. আমি কিছু বাঙালির মৃত্যুদন্ডের দাবি তুলতে চাই

    আমি কিছু বাঙালির মৃত্যুদন্ডের দাবি তুলতে চাই

    আবার ভাবি মৃত্যুদন্ড বড্ড হালকা শাস্তি হয়ে যায়।
    না না না না না না রাজাও না

    জানামতে কোনো নীতিও নাই

    তাই রাজনীতির জমজমাট ব্যবসা চলে নির্দ্বিধায়

    না না না না না না আপত্তি নাই

    উপরে বসে ঈশ্বর আল্লাহ্‌ দেখছে তামাশা

    নিচে তোরাই মোদের হর্তাকর্তা আর ভাগ্যবিধাতা

    রক্তপিপাসু দানবের দল

    রক্ত ফিনকি আর মায়ের অশ্রুজল

    আদিকাল হতে বাংলায় বসতি

    ইতিহাসে ঘুর ঘুর ঘুর ঘুর ঘুর ঘুর ঘুর ঘুর ঘুর ঘুর করে ঘুরে এসেছে

    শুধু এক পুনরাবৃত্তি।
    আর তাই

    আর তাই

    আমি কিছু বাঙালির মৃত্যুদন্ডের দাবি তুলতে চাই

    আবার ভাবি মৃত্যুদন্ড বড্ড হালকা শাস্তি হয়ে যায়।
    শেখাবে অনেক কিছু

    পায়ের রগ কাটা, হুমকি দেয়া, বোমা ছোড়া

    আর ভচাত করে পেটের ভুড়ি সব নামিয়ে ফেলতে

    সব কিছু দেওয়ার আশ্বাস দেবে,

    দেবে না শুধু শিক্ষা, চাকরি আর শান্তিতে বসবাস করতে।

    ক্ষমতা নামের শিল্প কারখানায় তৈরী হচ্ছে এক বিশাল ইন্দ্রজাল

    আর তুই তাতে শিক্ষিত মূর্খ বিনে পয়সায় কেনা টাটকা কাঁচামাল (হাহ্‌ হা)

    আর জানতে পারবো তোর মৃত্যুর খবর পত্রিকাতে পরদিন

    আর জানতে পারবো তোর মৃত্যুর খবর পত্রিকাতে পরদিন

    হরতাল, ছুট্টি, লাগাও ফুর্তি কেবল টিভিতে শ্রীদেবী নাচবে

    ধিনাক নাতিন তিন, ধিনাক নাতিন তিন, ধিনাক নাতিন তিন।
    তোর নেতা নেত্রী এসে চুক চুক চুক চুক চুক চুক চুক চুক চুক করে চুম্বন দেবে

    তোর এতীম সন্তানকে,

    ওদের “বীর শহীদ একনিষ্ঠ কর্মী” বলে দশটি হাজার টাকা সঁপে দেবে

    তোর ষোড়শী বিধবাকে

    পচবি তুই কোন কবরস্থানে

    নতুবা গলবি চিতার আগুনে

    আর বছর ঘুরতে না ঘুরতে

    তুই হারিয়ে যাবি

    ইতিহাসের কোনো ডাস্টবিনে।
    খুব ভাগ্যবান হলে অবশ্য

    একটি স্মৃতিসৌধও হতে পারে তোর নামে

    সেথায় কুকুর পা তুলে পেচ্ছাবের পিচকারী ছুড়বে পথ হারানোর ভয়ে

    আর তোর নেতা নেত্রী বাহ্‌ বাহ্‌ বাহ্‌

    আর সালাম কুড়াবেন তোর কঙ্কালের উপরে দাঁড়িয়ে।
    ইতিহাসের একটা সময় ছিল যখন বাঙালি ছিল জাতি

    আজ বাঙালি নেহায়েতই এক রাজনৈতিক উপাধি

    আর বাঙালির আনন্দ উৎসবের মাস ‘ফেব্রুয়ারি’।
    ঘৃণ্য রাজাকারের পোস্টার, স্টিকার আর ধিক্কার

    সবই শোভা পায় এই ‘একুশের আনন্দ মেলায়’

    পাশাপাশি ইমরান খান আর পিয়ারা পাকিস্তানের ক্রিকেটারের পোস্টারও ঝোলে

    দোকানে দোকানে

    ‘প্রগতিশীল বাঙালি’ দু’রাত ঘুমাতে পারেনি

    পাকিস্তানের ক্রিকেটারের ব্যর্থতা চিন্তা করতে করতে

    অথচ খবর রাখেনা তার দু’লক্ষ মা বোন

    আজও আটক আছে

    পাকিস্তানেরই কত পতিতালয়ে

    সেথায় একাত্তরের ঘাতকের সন্তানাদি

    আজও নির্মম ধর্ষণ চালায়

    পরাজয়ের প্রতিশোধ হিসাবে

    আর তুই শালা আঙুল চোষা বাংলাদেশি

    দে হাত তালি ‘বাউন্ডারি বাউন্ডারি’ আর ‘ছক্কা ছক্কা’ বলে।
    কোথায় তোমরা নারীবাদী পক্ষ কোথায় তুমি তসলিমা?

    কোথায় আমার দুই দেশনেত্রী খালেদা আর হাসিনা?
    আপনারা কি খোঁজ নেবেন এসব গুরুতর অভিযোগের

    নাকি শুধু রাজনীতি করবেন নিজেদেরই আত্মপ্রচার আর আত্মপ্রসাদের

    নাকি আখ্যা দেবেন কেবল আমায়

    ‘উন্মাদ’, অবাঞ্চিত, নতুবা ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ বলে

    শুধু বলি “আমার দু’লক্ষ মা বোনের মুক্তির দাবিতে

    আমি যে প্রস্তুত, আমি প্রস্তুত, আমি প্রস্তুত, ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলতে”।
    আর যদি নীরব থাকেন জেনে নেবো এই মৌনতা

    আপনাদেরই সম্মতির লক্ষণ আর বলবো,

    শুধু উপহাস করে বলবো,

    আমি আমার নিজের মৃত্যুদন্ডের দাবি তুলতে চাই

    আমি আমার নিজের মৃত্যুদন্ডের দাবি তুলতে চাই

    আমি আমার নিজের মৃত্যুদন্ডের দাবি তুলতে চাই

    আমি আমার নিজের মৃত্যুদন্ডের দাবি তুলতে চাই

    আমি আমার নিজের মৃত্যুদন্ডের দাবি তুলতে চাই

    আমি আমার নিজের মৃত্যুদন্ডের দাবি তুলতে চাই

    আমি আমার নিজের মৃত্যুদন্ডের দাবি তুলতে চাই

    আমি আমার নিজের মৃত্যুদন্ডের দাবি তুলতে চাই

    আবার ভাবি নিজের বেলাও এ বড্ড হালকা শাস্তি হয়ে যায়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

" বিরহের বাণী "

" জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন বৃত্তান্ত "

“ প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে বিভিন্ন দার্শনিক কে কি বলেছেন চলুন দেখে নেয়”

“শুধু তোমার-- ডাগর চোখের জন্য”